সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই
রেসিলেয়েন্সি ইনিশিয়েটিভ পোর্টালটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থানীয় কমিউনিটিকে ক্ষমতায়ন করছে যাতে ডিজিটাল টুলস কাজে লাগিয়ে তাদের নেটওয়ার্কের ভিতরে ও বাইরে ঘৃণা, সহিংসতা, এবং সংঘাত মোকাবেলা করা যায়। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে চালু হওয়া এই রিসোর্স পোর্টালটি অনলাইন স্পেস নেভিগেট করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়িত্বশীলতার সাথে ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে, বিনামূল্যে বিভিন্ন টুল ও কমিউনিটি নেটওয়ার্কসমূহে অ্যাক্সেস প্রদান করে। প্রযুক্তি তথ্য ও সংবাদ ছড়িয়ে দেয়া কাজটি সহজ করেছে। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণহীন বক্তব্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার কেউ থাকেনা, তখন ভুল তথ্য বিদ্যমান উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে বা ধর্মীয়, জাতিগত বা লিঙ্গ ভিত্তিক নতুন বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যাটি কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ের তুলনায় এত বেশি আগে কখনও দেখা যায়নি, আর এই সময়টিতে অসহিষ্ণুতা ও পক্ষপাতপূর্ণ মন্তব্য কমিউনিটিগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে।
দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং ফেসবুকের অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ সম্প্রসারিত রেজিলিয়েন্সি ইনিশিয়েটিভ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে স্থানীয় পর্যায়ে সহনশীল কমিউনিটি তৈরিতে কাজ করছে। ২০২০ সালে, রেজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভ কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতি ত্বরিত প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসাবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৬০ টিরও বেশি স্থানীয় সিএসও এবং তৃণমূল সংগঠনকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রকল্পটি অনলাইন টুল এবং কমিউনিটি নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করে সহনশীলতা উন্নত করা, বিভিন্ন ধর্ম ও গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা শক্তিশালী করা এবং সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আমরা জানি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটিগুলো প্রতিদিন কুসংস্কার, বৈষম্য এবং বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে, যা প্রায়শই বৈষম্য, অবিচার এবং সহিংসতার দিকে পরিচালিত করে। কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ হিসেবে, আপনারা স্থানীয় অবস্থা— মানুষ, ইতিহাস এবং উত্তেজনা সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জানেন। সহনশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে এই সাইট আপনাকে অনলাইন স্পেস নেভিগেট করতে, ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে, এবং আপনার কমিউনিটির মধ্যে এবং বাইরে পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নত করতে বিভিন্ন টুলে অ্যাক্সেস প্রদান করছে।