সঠিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাছাইয়ের জন্য সবচেয়ে ভাল পরামর্শসমূহ
আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী সবচেয়ে ভাল প্ল্যাটফর্মটি বাছাই করার এই সহজ টিপসগুলোর সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জগতটিকে ন্যাভিগেট করুন।
প্রথমদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জগতটি বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে। আপনার কোথা থেকে শুরু করবেন? আপনার কি সব প্ল্যাটফর্মেই সাইন আপ করবেন? প্রথমে লেখাটি পড়ে দেখুন। আপনার চাহিদা অনুযায়ী সবচেয়ে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্মটি বাছাই করতে নিম্নোক্ত কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ল্যান্ডস্কেপের সাথে নিজেকে পরিচিত করুন
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলোর সাথে নিজেকে পরিচিত করুন যেন আপনি প্রত্যেকটির সুবিধা ও পার্থক্য বুঝতে পারেন। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোকে মোটামুটি নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়:
- সামাজিক নেটওয়ার্কিং
- ছবি-শেয়ায় করার নেটওয়ার্ক
- বার্তা সেবাসমূহ
- ভিডিও নেটওয়ার্ক
- পেশাদার নেটওয়ার্ক
জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম বাছাই করুন
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর উত্থান পতন হয়েছে। নতুন ফরম্যাটগুলো নতুন ফিচারের সাহায্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যেখানে অন্যান্য ফরম্যাটগুলো ফিকে হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরুপ, কিছু প্ল্যাটফর্ম যেগুলো শুধুমাত্র ছবি শেয়ার করার জন্য ছিল সেগুলোর জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে কারণ অন্যান্য আরও অনেক ফাংশনসহ ছবি শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। যেসব প্ল্যাটফর্মে ব্যাবহারকারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে সেখানে সাইন আপ করার কোনো মানে নেই। এরকম প্ল্যাটফর্ম বাছাই করুন যেখানে ছবি শেয়ার করার জন্য আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী উপায় রয়েছে।
সারা বিশ্বে ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার করছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্ল্যাটফর্মের আবির্ভাব হচ্ছে যেগুলোর মধ্য কিছু আছে অঞ্চলভিত্তিক। আপনার আশপাশের প্রভাব বিস্তারকারী লোকজন, তরুণ, এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে পটু লোকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন যে তারা কোন প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে সুপারিশ করে।
আপনার অঞ্চলে বর্তমানে কোন প্ল্যাটফর্মগুলো “জনপ্রিয়” সেটা বুঝতে ইন্টারনেট দুনিয়ায় একটু অনুসন্ধান করুন।
অনুসদন্ধান পরামর্শ:
শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেটওয়ার্ক + [your country or region]
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের পরিসংখ্যান + [your country or region]
আপনার অডিয়েন্স/শ্রোতা যেখানে রয়েছে সেটি বাছাই করুন
আপনার ম্যাসেজটি আপনার শ্রোতার কাছে পৌছান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো প্ল্যাটফর্ম বাছাই করার সময় যেই লোকদের সাথে আপনি সংযুক্ত হতে চান তারা কোন প্ল্যাটফর্মে বেশিরভাগ সময় কাটায় সেটা বিবেচনা করুন। কোন প্ল্যাটফর্মের সাথে আপনি পরিচিত বা আপনার সংস্থার মেজাজের সাথে কোন প্ল্যাটফর্ম যায় সেটা হিসেব করে প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা যাবে না। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া আপনার অডিয়েন্স/শ্রোতাদের চলেই না।
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে“আপনার “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কৌশল তৈরির পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা ” অনুসরণ করুন।
একটি অথবা দুইটি প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থাকুন
একসাথে সব জায়গায় সর্বত্র থাকার চেষ্টা করবেন না। আপনার কমিউনিটিকে একটি মূল প্ল্যাটফর্মে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করুন এবং সেটি ভালোভাবে ব্যবহার করতে শিখুন।
শুধুমাত্র একটি প্ল্যাটফর্ম বাছাই করা কি খুব বেশী কষ্টকর? আপনি আপনার দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন সেটা নিশ্চিত করতে কি আপনার দুটো প্ল্যাটফর্মে থাকতে হবে? তাই যদি হয়। একটি সাইটে কন্টেন্ট প্রকাশ করে একই সময়ে তা অন্যান্য সাইটে পোস্ট করার টুলও আছে ।
একই সময়ে একাধিক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করতে Buffer এর মত ফ্রী সামাজিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি তিনটির মত অ্যাকাউন্টে সাইন আপ করতে পারেন যেমন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন এবং অন্যান্য। এরপর আপনি একই কন্টেন্ট (ছবি, গ্রাফিক, লেখা) তিনটির সবগুলো
সেবাতে পোস্ট করতে পারবেন। অন্যান্য আরও ফ্রী সামাজিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজার আছে, আপনি খুঁজে দেখতে পারেন। আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্টেন্ট বিষয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে এখানে পড়ুন।
নিজেকে মূলত যে প্রশ্নগুলো করবেন:
- আমার কাঙ্ক্ষিত দর্শকরা কি এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে?
- এই সামাজিক নেটওয়ার্ক কি আমার কন্টেন্টের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ? উদাহরণস্বরুপ, আমার দীর্ঘ কন্টেন্টের তুলনায় টুইটার এর ট্যুইট অতি ক্ষুদ্র হতে পারে।
- এই নেটওয়ার্কের জন্য উপযুক্ত কন্টেন্ট কি আমি তৈরি করতে পারি? এই প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত উপস্থিতি বজায় রাখতে আমার কি পর্যাপ্ত রিসোর্স ও সক্ষমতা আছে?