আপনাকে কেন একটি ব্র্যান্ডের মত করে চিন্তা করতে হবে
আপনার বার্তা যেন আপনার শ্রোতাদের আলোড়িত করে এবং প্রভাব বিস্তার করে তা নিশ্চিত করতে কমার্শিয়াল ব্র্যান্ডগুলো থেকে যোগাযোগের মূল টিপসগুলো শেখা।
আপনি হয়তো একটি কমার্শিয়াল/বানিজ্যিক ব্র্যান্ডের মত পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করছেন না, কিন্তু আপনার বার্তা যেন আপনার শ্রোতাদের আলোড়িত করে, ছড়িয়ে যায় এবং প্রভাব বিস্তার করে সেটা নিশ্চিত করতে আপনি কমার্শিয়াল ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে কিছু জিনিস শিখতে পারেন। আপনি “আইডিয়া” বিক্রয় করছেন এবং আপনার কমিউনিটিটতে নেতিবাচক বক্তব্য ও কাজকর্ম প্রতিরোধ করে ইতিবাচক আচরণের পক্ষে আপনাকে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে। এটাই উদ্দেশ্য এবং এটা করার জন্য আপনাকে একটি ব্র্যান্ডের মত আচরণ করতে হবে।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতীক ও ছবি উপস্থিতির কথা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে কিছু হলো প্রাচীন প্রতীক যেগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পার করেছে। আর বাকীগুলো হলো আধুনিক যেগুলো আইডিয়া, সংস্থা এবং কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে। কিছু অফলাইন আর কিছু অনলাইন।
এগুলো থেকে আমরা যা শেখার আছে তা হলো যোগাযোগের ক্ষমতা। কিছু প্রতীক যেভাবে অনেক কিছুর বার্তা বহন করে তা সত্যিই দুর্দান্ত। প্রতীকগুলো নিজেই একটা বার্তাবাহক। যেখানে মুখে কিছু বলতে হয় না। একটি ল্যাপটপ কম্পিউটারের উপরে একটি আপেলের স্টাইলকৃত প্রতীক অনেক মানুষের সাথে অনেক লেভেলে যোগাযোগ করে। এটা প্রযুক্তি, নির্ভুলতা ও মর্যাদার কথা বলে। আরো বলে যে, পণ্যটি “ব্যয়বহুল” এবং নতুন মডেলের ধারাবাহিক প্রবর্তনের ফলে এটিকে অতিরিক্ত ব্যবহারের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা যেতে পারে।
আপনার ফোনের উপরের আইকনগুলো নিয়ে ভাবুন। আপনি সেগুলোর দিকে তাকিয়ে সেগুলো কী কাজ করে তা তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারবেন। আপনি সেগুলোর সাথে পরিচিত এবং প্রতিদিন সেগুলো দেখেন। সেগুলো খুব একটা পরিবির্তন হয় না। সেগুলো ধারাবাহিক। পরিবর্তন হলেও প্রতিবারে খুব সামান্য পরিবর্তন হয়ে থাকে।
কিছু প্রতীক অন্য প্রতীকগুলোর চেয়ে আমাদের চোখে বেশি পড়ার কারণ হলো সেগুলোর বার্তা বেশ স্পষ্ট ও দৃঢ হয়ে থাকে। কোন সংস্থার যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা সকলেই একই নির্দেশিকা ব্যবহার করে, যেটিকে প্রায়ই ব্র্যান্ড নির্দেশিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আপনার সংস্থার সকল যোগাযোগের ধরন একই রকম হতে হবে এবং মানও ধারাবাহিক হতে হবে। স্পষ্ট নির্দেশিকার মাধ্যমে এটি করা সম্ভব। সাধারণ নির্দেশিকায় যা যা থাকতে পারে:
- আপনার সংস্থাটি কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটির একটি স্পষ্ট বিবরণ।
- আপনার লোগোর আকার ও রঙ। এটি কখন ও কীভাবে ব্যবহৃত হয়।
- কোন ফন্ট ও রঙ ব্যবহার করা উচিত।
- কণ্ঠস্বর ও আচরণগত নির্দেশিকা। অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই আপনার প্রকাশিত লেখাগুলো কেমন লাগবে সেটা এখানে বর্ণনা করতে পারেন। এটা হতে পারতো বন্ধুসুলভ ও হালকা অথবা কর্তৃত্বপূর্ণ ও জ্ঞানসম্পন্ন যতক্ষণ না আপনি সেটা স্পষ্ট করেছেন। আপনার সংস্থার প্রত্যেকেই বর্তমানে ও ভবিষ্যতে এটিওর প্রতিলিপি করতে পারে। যোগাযোগের নির্দেশিকা কীভাবে তৈরি করা যায় এখানে দেখুন।
সবসময় এই দুইটি কাজ করুন:
- খুব স্পষ্ট বার্তা থাকে।
- সেই বার্তাটি ধারাবাহিকভাবে জানানো। এটি আপনার দেয়া বার্তা এবং অন্যান্য উপাদান যেমন কালার প্যালেট, আপনার ছবির স্টাইল অথবা আপনার মুখপাত্র বাছাই করা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এ দুটি কাজ করলে আপনার কমিউনিকেশন অনলাইন বা অফলাইন যেটাই হোক না কেন তা আপনার শ্রোতারা দেখবে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার সংস্থাকে শনাক্ত করতে পারবে এবং আপনার কাছ থেকে কখন বার্তা আসছে তা জানতে পারবে। আপনার বার্তাগুলো লক্ষণীয় হবে এবং আপনার শ্রোতারা সেগুলো শুনতে আরো আগ্রহী হবে।