একজন ভালো ডিজিটাল নাগরিক হোন

ভালো ডিজিটাল নাগরিকত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে তা এটিকে জনগণের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করতে সহায়তা করে। ভালো ডিজিটাল নাগরিকত্বের কিছু মূল উপাদান এখানে দেওয়া হলো।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের প্রভাব আছে। আমাদের ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস রয়েছে বিধায় এটি আমাদেরকে তথ্যের বিশাল ভান্ডারে অ্যাক্সেস দিয়েছে। ইন্টারনেট প্রকাশনার জগতটিকে গণতান্ত্রিক করেছে। এর অর্থ হলো যে কেউ তাদের ইচ্ছামত যেকোনো কিছু পাবলিশ করতে পারে। সত্যতা যাচাই না করেই অথবা তাদের কথা বা ছবিগুলোর প্রভাব বিবেচনা না করেই যে কেউ যেকোনো চিন্তা-ভাবনা, মতামত, অথবা আবেগ যেকোনো সময়ে প্রকাশ করতে পারে।

নাগরিকত্ব অর্থ কোনো দেশের অন্তর্ভুক্ত থাকা। সেই দেশে নাগরিকত্বের সাথে অধিকার ও বাধ্যবাধকতা, আইনকানুন চলে আসে যেগুলো একজন ভালো নাগিরককে মেনে চলতে হয়। প্রায়ই ভালো নাগরিকত্বের এই প্রত্যাশাগুলো ঐ দেশের নাগিরকদের মধ্যকার সাধারণ বোধগম্যতার বিষয়। 

কিন্তু ইন্টারনেট কোনো দেশ নয়। যিনি ইন্টারনেট জগতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন তিনি কিছুটা হলেও একজন ডিজিটাল নাগরিক। ডিজিটাল নাগরিকত্বের কোনো আইনি আচরণবিধি অথবা সাধারণ বোধগম্যতা নেই এবং এ নতুন সীমান্তের নিয়ম-কানুন এবং প্রত্যাশাগুলো ব্যাপকভাবে স্ব-নিয়ন্ত্রণের উপর নির্ভর করে।

সেখানেই আপনার মত নেতারা এগিয়ে আসেন। একজন CSO/সুশীল সমাজের নেতা হিসেবে ভালো ডিজিটাল নাগরিকত্ব প্রচার করা ও অনলাইনে ইতিবাচক অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা রয়েছে। ভালো ডিজিটাল নাগরিকত্বের আইডিয়াকে উৎসাহিত করলে, তা মানুষদেরকে এটা কী সেই ব্যাপারে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে সহায়তা করে এবং সম্ভবত তাদেরকে এটার ব্যাপারে আরও শেখার জন্য উৎসাহী করে। 

ভালো ডিজিটাল নাগরিকত্বের কিছু মূল উপাদান এখানে দেওয়া হলো।

দায়িত্বশীল ব্যবহার

ভালো ডিজিটাল নাগরিকত্বের অর্থ হলো অনলাইনে ইতিবাচক আচরণ করা এবং নিজে যেমন আচরণ পেতে চান, অন্যান্য মানুষদের সাথে সেইরকম আচরণ করা। অন্যদেরকে সম্মান ও ভদ্রতা দেখালে সেটা তাদেরকেও একই কাজ করতে উৎসাহিত করবে।

এভাবে আমরা উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দিতে পারি। এর অর্থ হলো অন্যদেরকে তাদের কাজে জন্য কৃতিত্ব দেওয়া, অনলাইনে কোনো ক্ষুব্ধ বিরোধে জড়িত না হওয়া, এবং আমাদের জানামতে সত্য তথ্যগুলোই শুধুমাত্র শেয়ার করা।

ডিজিটাল স্বাক্ষরতা

আপনার ডিজিটাল তথ্য কোথা থেকে আসে, আপনি এটাকে কখন বিশ্বাস করতে পারবেন, এবং আপনি এটাকে কিভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তা জানুন। ডিজিটাল স্বাক্ষরতা এর অর্থ হলো তথ্যগুলোর উৎস সম্পর্কে ও নির্দিষ্ট তথ্যগুলো কেন শেয়ার করা হচ্ছে তা সুচিন্তিতভাবে চিন্তা করা। 

নিজেকে সুরক্ষিত করুন

আপনার অনলাইন তথ্য যে সুরক্ষিত আছে তা নিশ্চিত করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষত আপনার পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত করুন। এবং তাদের প্রকাশ্য অনুমতি ব্যতীত তাদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করে আপনার কাছেই সেগুলো সুরক্ষিত করুন। 

শেয়ার করার পূর্বে চিন্তা করা 

“কোনো কিছু পোস্ট করার পূর্বে ভেবে দেখুন” হলো ডিজিটাল নাগরিকত্বের নিয়মগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। এই নিয়মটি আপনি অন্যদের শিখাতে পারেন। এর সহজ অর্থ হলো কোনো পোস্ট শেয়ার করার পূর্বে সেটি উপকারী, সম্মানজনক এবং সত্য কিনা তা নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করা।

বিশ্বব্যাপী শিশুদেরকে রাস্তা পারাপারের পূর্বে থামতে এবং দেখেশুনে পার হতে শেখানো হয়। তারা ভুল সময়ে প্রতিবন্ধক পার হলে তার বাস্তব ও তাৎক্ষণিক পরিণতি হয়ে থাকে। 

ইন্টারনেটে আচরণের জন্য বাস্তব-জাগতিক পরিণতিও রয়েছে। প্রাপ্তবয়ক ও শিশু উভয়কেই ইন্টারনেটে নিরাপদ হওয়া শেখা প্রয়োজন। কোন কম্পিউটার অথবা ফোনে টাইপ করাটা নিরাপদ, ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় মনে হতে পারে, কিন্তু এর পরিণতি সাংঘাতিক হতে পারে। আমাদের নিজেদের জন্যই আমাদের সকলকে ভালো নাগরিক হতে হবে।

প্রয়োজনীয় রিসোর্সেস: রিসোর্সেস – উই থিংক ডিজিটাল (fb.com)

ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকুন

সক্রিয় থাকুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাদের বৃহত্তর কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকুন।

Go to Facebook