সেকশন ৩: কীভাবে কার্যকর সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করবেন
সিএসও-র সোশ্যাল মিডিয়ার/সামাজিক মাধ্যমের জন্য পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা
আপনার কনটেন্ট যত ভাল হবে, মানুষ তত সেটি অন্যদের সাথে শেয়ার করবে। মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে এবং আপনার অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তার জন্য এখানে কয়েকটি কার্যকর টিপস রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম মানেই হল শেয়ার করা — সংবাদ, গল্প, ছবি এবং আইডিয়া শেয়ার করা। ভাল কনটেন্ট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে লোকজন তা পড়তে বা দেখতে চায় এবং তারপর অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারে। আপনার কনটেন্ট যত ভাল হবে, মানুষ তত সেটি অন্যদের সাথে শেয়ার করবে। অর্থাৎ আপনার ম্যাসেজ/বার্তা অধিক লোকজনের কাছে পৌঁছলে অধিক কার্যকর হবে।
মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে এবং আপনার অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তার জন্য এখানে কয়েকটি কার্যকর টিপস রয়েছে।
নিয়মিত পরিবর্তন
সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম হল একটি সদা-পরিবর্তনশীল একটি ক্ষেত্র। এটি দ্রুত পরিবর্তনশীল ও নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং এখানে সর্বদা যোগাযোগের বিভিন্ন উপায় আবির্ভূত হচ্ছে। নতুন জিনিস শিখতে এবং নতুন তথ্য অনুসন্ধানের মানসিকতা তৈরি করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ার/সামাজিক মাধ্যমের ইন্টারফেসগুলো ব্যবহার করা সহজ, বিশেষত সর্বাধিক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে। নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোনটাতে কী কাজ করে এবং কী কাজ করেনা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এগুলো চেক করে দেখতে ভয় পাবেন না।
সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেগুলো কীসের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং আপনার অঞ্চলে সেগুলো কতটা জনপ্রিয় সে সম্পর্কে জানুন। আপনার শ্রোতারা কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন? প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট প্রয়োজন সেটা চিন্তা করুন এবং সেই প্ল্যাটফর্মটিতে আপনার উপস্থিতি নিয়মিত বজায় রাখতে পারবেন কিনা তাও ভেবে দেখুন।
আপনার কনটেন্ট অন্যান্য কনটেন্টের চেয়ে আলদাভাবে উপস্থাপন করুন
ইন্টারনেটে প্রচুর পরিমাণ তথ্য রয়েছে। আপনি যদি আপনার ম্যাসেজটি আপনার দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে চান তবে আপনাকে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হতে হবে। আপনার শ্রোতাদের নিকট প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ কনটেন্ট পৌঁছে, তাই অন্যান্য কনটেন্ট থেকে আপনার কনটেন্টগুলো আকর্ষণীয় ও ভিন্ন হতে হবে। একটু ভেবে দেখুন- প্রতিদিন আপনি কত শত ম্যাসেজ পাচ্ছেন। আপনি কি যত্নসহকারে সবকিছু পড়েন? কোন জিনিসটি আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করে? আপনার মনোযোগ কি সুন্দর কোনো ছবি, আকর্ষণীয় শিরোনাম বা নির্দিষ্ট কোনো রঙের মাধ্যমে আকর্ষিত হয়? ভাল কনটেন্ট তৈরির জন্য এখানে কয়েকটি প্রয়োজনীয় টিপস আছে যা আপনার কনটেন্টকে অতুলনীয় করতে সহায়তা করতে পারে।
সবসময় চেষ্টা করুন প্রথমেই যেন চমৎকার একটি ইম্প্রেশন তৈরি করা যায়
আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেইজগুলোতে প্রথমবার আসা ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সকল সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্টে আপনার কভার ফটোগুলো এবং অ্যাবাটারগুলো যেন দেখতে আকর্ষণীয় এবং যথাসম্ভব সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করুন।
আপনি আপনার কভার ফটো ফাঁকা রাখতে পারেন বা তাতে একটি সলিড কালার ব্যবহার করতে পারেন। এটি পার্থক্যের একটি নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। আপনি একাধিক ছবিও আপলোড করতে পারেন। কিছু কিছু সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম প্রোফাইলের জন্য একটি টেমপ্লেট নির্বাচনের সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনার সংস্থার জন্য একটি চমৎকার লুক এবং অনুভূতি তৈরিতে টেমপ্লেটগুলো ব্যবহার করুন। ব্যানার, শিরোনাম, কভার আর্ট এবং অন্যান্য অনেক কিছুর জন্য আপনার নিজস্ব ছবি ব্যবহার করুন বা লাইব্রেরি ইমেজ নির্বাচন করুন।
ব্র্যান্ডিং করুন
কিছু কিছু লোক ব্র্যান্ডিংকে বিরক্তিকর এমনকি চাতুর্যতা হিসেবে মনে করে যেমনটি বড় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য কেনার জন্য আমাদের বোকা বানাতে ব্যবহার করে। ব্র্যান্ডিং প্রকৃতপক্ষে খারাপ কিছু না। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি টুল মাত্র, যা ভাল বা খারাপ উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু উগ্রবাদী সংগঠন তাদের অনুসারীদের আকৃষ্ট করতে এবং তাদেরকে উৎসাহিত করতে এটি অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করে থাকে। ব্র্যান্ডিং ভাল কিছুর জন্য একটি শক্তি হতে পারে।
শক্তিশালী ব্র্যান্ডগুলো ভোক্তাদের সাথে একটি আবেগপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে। ইউনিসেফ তাদের অতিপরিচিত নীল রঙের শেডের লোগো এবং শিশুদের ছবির সাহায্যে এটি করে। সফল ব্র্যান্ডসমূহ তাদের গ্রাহকদের সম্পর্কে ভালভাবে জানে এবং ধারাবাহিকভাবে ব্র্যান্ডিং প্রোগ্রাম চালিয়ে যায়। আমরা তাদেরকে দেখে শিখতে পারি।
আপনার সংস্থার জন্য ব্র্যান্ডিং এর অর্থ হল গ্রাহকদের সাথে কমিউনিকেশনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।ধারাবাহিকভাবে একই কালার ডিজাইন, ফন্ট এবং ফটোর স্টাইল ব্যবহার করুন যাতে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে আপনার সংস্থাকে সনাক্ত করতে পারে। এমনকি আপনি কীভাবে দর্শকদের কাছে লিখছেন বা “কথা বলছেন” তাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সংস্থার সকল যোগাযোগের ধরন/বিন্যাস একই রকম এবং মানও ধারাবাহিক হওয়া উচিত।
বিচিত্র কনটেন্ট তৈরি করুন
বার বার একই জিনিস বিরক্তিকর হয়ে থাকে, তাই না? মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্টে ব্যবহার করুন। বৈচিত্র্যপূর্ণ কনটেন্টের মধ্যে থাকতে পারে:
- কোন ক্যাম্পেইন বা প্রকল্পের জন্য প্রচারণা
- আসন্ন ইভেন্টসমূহ
- প্রভাব এবং সাফল্যের গল্প
- বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের মন্তব্য এবং প্রশংসা
- আপনার সংস্থার সংস্কৃতি তুলে ধরা
- দলের সদস্য বা স্বেচ্ছাসেবীদের প্রোফাইল
- সাম্প্রতিক ঘটনাবলী (মীমস এবং জিআইএফ সহ)
- সহায়ক রিসোর্সের লিংক
- প্রতিবেদন এবং গবেষণার ফলাফল
অনালইনের ক্ষেত্রে ভাল ছবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভিজ্যুয়াল ইমেজ সহজে মনোযোগ আকর্ষণ করে! আপনি যখন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম ফিডগুলো স্ক্রল করতে থাকেন বা কোনো সংবাদপত্র পড়তে থাকেন তখন যে জিনিসটা আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করে সে সম্পর্কে চিন্তা করুন। ছবিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে, তাই না? গ্রাফিক্স, ছবি এবং বিজ্ঞাপন। আপনার শ্রোতা প্রতিদিন যেসব ম্যাসেজ দেখে সেগুলো থেকে আপনার ম্যাসেজটিকে ভিন্নতর হিসেবে উপস্থাপন করতে আপনাকে সুন্দর ছবি ব্যবহার করতে হবে।
ছবিগুলো যা পারে:
- আপনার আইডিয়া সহজ হোক বা জটিল হোক, ছবি অল্প কথায় তা বুঝতে সহায়তা করতে পারে।
- আপনার কনটেন্টটি পেশাদার এবং নির্ভরযোগ্য করে তৈরি করুন।
- আপনি যা বলছেন তা যেন মানুষকে মনে রাখতে পারে।
- আপনার তথ্য অন্যদের সাথে শেয়ার করতে মানুষকে উৎসাহিত করুন।
ছবি ছাড়া প্রচুর টেক্সট থাকলে তা খুবই বিরক্তিকর লাগে! তখন সেই কনটেন্টকে ছবি বিহীন একটি বই বা ম্যাগাজিনের মতো মনে হবে। সফল অনলাইন কমিউনিকেশনের জন্য আপনাকে অবশ্যই ছবি ব্যবহার করতে হবে। শব্দ ও ছবি একসাথে ব্যবহার করে বলা গল্পগুলো দারুণ প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
ফ্রি ছবি কীভাবে সংগ্রহ করবেন
আপনি অনলাইনে আপনার নিজস্ব ছবি ব্যবহার করতে পারেন অথবা অন্যদের ডিজাইনকৃত ছবিও ব্যবহার করতে পারেন। ইন্টারনেটে প্রচুর ফটোগ্রাফ এবং ভিজ্যুয়াল ইমেজ রয়েছে যা অন্য কারও ছবি দিয়ে বানানো, সেগুলো আপনি সস্তায়, দ্রুত এবং সহজে ব্যবহার করতে পারেন।
ফ্রি ছবির উৎসের মধ্যে রয়েছে ইমেজ লাইব্রেরি, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবি এবং ওয়েবসাইটে থাকা ছবি। তবে এই ধরনের ছবি ব্যবহারের অনুমতি আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। যে সাইট থেকে ছবি নিচ্ছেন সেই সাইটেই খুঁজে দেখুন অনুমতি আছে কিনা বা ছবির মালিককে ইমেইল করে অনুমতি নিয়ে নিন। ক্যানভার মতো কিছু কনটেন্ট তৈরির টুল আপনাকে কপিরাইট-মুক্ত ছবিতে অ্যাক্সেস দিবে।
ইন্টারনেটের যেখান থেকেই ছবিগুলো নেন না কেনো, এমনকি সেগুলো ফ্রি হলেও সর্বদা ছবির উৎস উল্লেখ করুন। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
- প্রায় সবাই মনে করে এটি করাই সঠিক কাজ। প্রত্যেকেই তাদের কাজের জন্য কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য।
- এতে আপনার শ্রোতারা বুঝতে পারবে যে, আপনি ছবিগুলো চুরি করেননি, এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। এর অর্থ আপনার তথ্যের ব্যাপারে আপনি সৎ।
- এই রীতি ভাল ডিজিটাল নাগরিকত্বকে ইঙ্গিত করে এবং আপনার শ্রোতারা বুঝতে পারে যে ছবিটি বৈধভাবে ব্যবহার করেছেন।
বিনামূল্যে কনটেন্ট তৈরি: ফ্রি টেমপ্লেট দিয়ে শুরু করুন
আপনি যদি ডিজাইনার নাও হন বা আপনার টেকনিক্যাল স্কিল না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। আপনি টেমপ্লেট ব্যবহার করে অনলাইনে চমৎকার কনটেন্ট তৈরি করে ফেলতে পারেন। বহু টেমপ্লেট আছে যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দেরটা বেছে নিতে পারেন। প্রায়শই প্রচুর বিকল্প থেকে আপনার আসলে কোনটা দরকার তা বেছে নেওয়াটা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রোগ্রামগুলো আপনাকে ভালো আইডিয়া দিবে।
সুখবর: সেখানে কনটেন্ট তৈরি করার জন্য সহজে শিক্ষণীয় ও ফ্রী টুল রয়েছে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন, সেগুলো আসলেই ফ্রি। যেসব ছোট ব্যবসায় এবং প্রতিষ্ঠান একজন গ্রাফিক ডিজাইনার নিয়োগ দেওয়ার সামর্থ্য রাখেনা তারা এগুলো ব্যবহার করেন।
এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ১৪ দিনের ফ্রি ট্রায়ালের সুযোগ দিয়ে থাকে। ফ্রি ট্রায়ালের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পুনরায় ব্যবহার করতে আপনাকে সাইন আপ করতে হবে এবং পেমেন্ট করতে হবে।
অন্যান্য টুলগুলো অবশ্য স্বতন্ত্র ব্যক্তির জন্য ফ্রি, তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য ফ্রি নয়, তাদেরকে পেমেন্ট করতে হয়।
টুলগুলো ফ্রী হবে কি হবেনা তা কখনো কখনো আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি প্রচুর ব্যবহার করেন তখনই কেবল আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে।
আপনি উক্ত টুলগুলো দিয়ে যা যা তৈরি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে:
- প্রেজেন্টেশন
- ফ্লায়ারস
- পোস্টার
- যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত সাইজের সুন্দর সুন্দর ছবি
- হেডার
- লোগো
- অ্যানিমেশন
- ইনফোগ্রাফিক্স
- জরিপ—গুগল সার্ভে বা সার্ভে মাংকি ব্যবহার করুন
- মীমস
- GIFs ফাইলসমূহ
আমরা যে টুলগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেই
অনলাইন কটেন্ট বানানোর অনেকগুলো ফ্রি টুল আছে। আমাদের সেরা পছন্দ হলো Canva।
আমরা Canva পছন্দ করি কারণ:
- এটি শিখতে ও ব্যবহার করতে সহজ।
- এখানে বিভিন্ন ফরম্যাটের প্রচুর টেমপ্লেট রয়েছে।
- এটি নতুন নতুন টেমপ্লেট দ্বারা নিয়মিত আপডেট হয়।
- আপনি আপনার পছন্দমত ডিজাইন নির্বাচন করতে পারবেন।
- এখানে আপনি টিম ভিত্তিক কাজ করতে পারেন, ফলে অন্যরা আপনার কাজের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারেন।
- ক্যানভা আপনার ডিজাইনগুলোকে আপনার অ্যাকাউন্টে রেখে দেয় ফলে আপনি প্রতিবার আপনার ডিজাইন আপডেট করতে পারেন।
আপনার তৈরি প্রতিটি ম্যাসেজের ব্র্যান্ডিং করতে এবং কমিউনিকেশন যেন একই রকম হয় তা নিশ্চিত করতে আপনি Canva ব্যবহার করতে পারেন, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে ম্যাসেজটি আপনার সংস্থার। অবয়ব ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে আপনার কমিউনিকেশন যদি সুস্পষ্ট এবং ধারাবাহিক হয়, তাহলে উক্ত কমিউনিকেশন আপনার শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সহায়তা করবে। যদি আপনার কমিউনিকেশন প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে একই লুক না থাকে, তাহলে একটি কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম যে আপনার প্রতিষ্ঠানের, মানুষ তৎক্ষণাৎ তা বুঝে উঠতে পারবেনা।
আপনি কোন টুলটি ব্যবহার করার পূর্বে সেটার ব্যাপারে সর্বদা অনুসন্ধান করুন। সর্বদাই নতুন নতুন টুল বাজারে আসছে। আপনি হয়তো এমন কোন নতুন টুল পেয়ে যাবেন যেটা আপনার কাছে অধিক পছন্দনীয়। তবে, অন্যান্যদের কাছ থেকেও পরামর্শ চাইতে পারেন।
চিন্তা করুন যে আপনি কী কনটেন্ট তৈরি করতে চান
সর্বদা আপনার মূল বার্তাটি মনে রাখবেন। আপনি আপনার শ্রোতাদের কী বলতে চান? আপনি বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকে আপনার কথা বলতে পারেন; তবে আপনি কী বলতে চান তা বলতে ভুলে যাবেন না। আপনার কনটেন্ট যেন দেখতে চমৎকার দেখায়, তবে এটিও খেয়াল রাখুন যে, আপনার দর্শক যেন আপনার মূল ম্যাসেজটি বুঝতে পারে।
অনলাইনে আপনার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও কনটেন্টের ধারাবাহিকতা কেমন তা সম্পর্কে ভাবুন। উদাহরণস্বরূপ, বিদ্বেষপূর্ণ-বক্তব্য-বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পেইজে বিড়ালের সুন্দর ছবি পোস্ট করা খুবই বেমানান হবে — যদি বিড়ালটি প্রাসঙ্গিক কোনোাই ম্যাসেজ না দেয়!