সেকশন ১: কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে/সামাজিক মাধ্যমকে বাস্তব জীবনের সাথে সংযোগ করবেন

সিএসও-র সোশ্যাল মিডিয়ার/সামাজিক মাধ্যমের জন্য পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা

আপনি যেসব লোকদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন তাদের ক্ষমতায়নের জন্য যেখানে লোকজনের আলোচনা চলে সেখানে সুশীল সমাজের সংস্থাসমূহকে (CSOs) থাকা প্রয়োজন। সোশ্যাল হোন!

রেজিলিয়েন্সি ইনিশিয়েটিভ এর ভূমিকা

আমরা একটি অস্বাভাবিক সময় পার করছি। কোভিড-১৯ মহামারীটি এশিয়ার বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে ধর্মীয়, জাতিগত এবং লিঙ্গ ভিত্তিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, বৈষম্য, জেনোফোবিয়া এবং অনলাইনে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যা চরমপন্থা বা সহিংসতার দিকে ধাবিত করতে পারে।

সহনশীলতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধর্ম ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বোঝাপড়া জোরদার করা, এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে সহনশীল কমিউনিটি গঠনে সহায়তা করার মাধ্যমে সহিংস উগ্রবাদকে প্রতিরোধ করার জন্য রেজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভ হল ফেসবুক এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ। 

এই ওয়েবসাইট ও নির্দেশনাটি কীভাবে ব্যবহার করবেন

রেজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভ আপনাকে আপনার কমিউনিটিতে সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম টুলস সরবরাহ করবে। আপনিই আপনার কমিউনিটি তথা মানুষ, ইতিহাস এবং এর সমস্যা সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জানেন।

রেজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভ আপনাকে এই অনলাইন নির্দেশনাটি সহ বিনামূল্যে অনলাইন রিসোর্স সরবরাহ করবে, পাশাপাশি আপনার মধ্যে এমন কিছু দক্ষতার বিকাশ ঘটাবে যাতে আপনি আপনার কমিনিউটির মধ্যে বোঝাপড়া ও সহনশীলতা প্রচার করতে পারেন। আপনি ভবিষ্যত প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারবেন এবং আপনার আশেপাশে যারা এই একই ধরনের সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন এমন অন্যান্য সুশীল সমাজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর (সিএসও) সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। 

এই নির্দেশিকাটি সুশীল সমাজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রেজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভের পদ্ধতির একটি সারসংক্ষেপ। এটি অনলাইনে শেয়ার করা যাবে বা অফলাইনে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করা যাবে। এখানে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সে সম্পর্কে আপনি এই ওয়েবসাইটটির রিসোর্স বিভাগে বিস্তারিত নিবন্ধ, ওয়ার্কশীট, ইনফোগ্রাফিক্স এবং ভিডিও পেতে পারেন। রেজিলেন্সি ইনিশিয়েটিভকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে আরো সমৃদ্ধ হবে এবং ফলে আমরা আশা করি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম সংক্রান্ত আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আপনি নিয়মিত এটা ভিজিট করবেন!

আপনি কেন অনলাইনে চোখ রাখবেন

আপনি যেসব লোকদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন তাদের ক্ষমতায়নের জন্য তাদের সম্পর্কে যেখানে আলোচনা হয় সেখানে সিএসওগুলোকে (সুশীল সমাজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান্সমূহ) থাকতে হবে। সোশ্যাল হোন! বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ তাদের ধারণা, মতামত, তথ্য এবং পণ্য শেয়ার ও বিনিময় করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছেন। সঠিক লোকজনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং অনলাইন ও অফলাইন কমিউনিটি তৈরি এবং তাদের সাপোর্ট করতে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়।

গতানুগতিক মিডিয়াগুলোর মতো সোশ্যাল মিডিয়াও/সামাজিক মাধ্যমও সংবাদ সংগ্রহ ও সংবাদ পরিবেশন করতে, শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগ করতে, এবং পরিবর্তনের পক্ষে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার/সামাজিক মাধ্যমের অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে।

  • সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম দ্রুত ও তাৎক্ষণিক। সোশ্যাল মিডিয়া রিয়েল টাইমে/সামাজিক মাধ্যম বাস্তবিক সময়ে কাজ করে এবং প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায়/সামাজিক মাধ্যমে আপনার বার্তাটি আপনার দর্শক বা শ্রোতার সাথে সরাসরি শেয়ার করতে শুধু শেয়ার করুন বা পোস্ট করুন  বাটনে টিপ দিলেই কাজ শেষ।
  • সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যমে নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করে বিপুল সংখ্যক লোকের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়। 
  • ব্যবহার করাও সহজ। ইন্টারফেসগুলো খুবই সহজ এবং তেমন কোনো প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন নেই। 
  • এটি যোগাযোগের একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা একদমই ফ্রি বা কম ব্যয়বহুল।

অফলাইন এবং অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমের যুগপৎ ব্যবহার

আপনি গতানুগতিক মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম উভয়ই একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইন ক্যাম্পেইন বিদ্যমান গতানুগতিক মাধ্যমগুলোর পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে আপনার যোগাযোগের উদ্দেশ্য অনুসারে কোন মাধ্যমটি সবচেয়ে ভাল কাজ করবে তা বুঝতে ও নির্বাচন করতে হবে। কখনো কখনো সরাসরি স্ট্রিট ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা অনলাইন নিউজলেটার ক্যাম্পেইনের চেয়ে অধিক কার্যকর হতে পারে। কেন? আপনার নিউজলেটারটি তৈরি করতে আপনি হয়তো প্রচুর সময় ব্যয় করলেন এবং অনেক পরিশ্রম করলেন এবং অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন। পরে আবিষ্কার করলেন যে আপনার নিউজলেটারটি খুব কম লোকই খুলেছে এবং পড়েছে। প্রতিটি পরিস্থিতি আলাদা এবং একটি আরেকটি থেকে ভিন্ন। তাই আপনাকে প্রতিটি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই উপযুক্ত ও অধিক কার্যকর যোগাযোগ কর্মসূচি নির্বাচন করতে হবে। এটা অনলাইন, অফলাইন বা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে।

কখনো কখনো সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম ক্যাম্পেইনগুলো বাস্তব জীবনকে প্রতিফলিত করতে পারে এবং ভৌগলিক সীমানা পেরিয়ে যেতে পারে। শক্তিশালী #blacklivesmatter আন্দোলনটি যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। এটি আদিবাসী কমিউনিটি এবং কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের জন্য সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়ও প্রভাব ফেলেছিল।

অনলাইন #metoo আন্দোলনটিও বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে এবং এশিয়াতেও প্রভাব ফেলেছে। এটি কমিউনিটি, প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং এমনকি সরকারি সংস্থার মধ্যে যৌন নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে নারীদের সাথে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতন সম্পর্কিত ঘটনাসমূহ প্রকাশ করতে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করে। এশিয়া জুড়ে সর্বসাধারণের ক্ষোভ প্রকাশের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াও/সামাজিক মাধ্যমও একটি প্রধান অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম সব সময় পরিবর্তনশীল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আপনি কী জানাতে চান সে সম্পর্কে ভালভাবে নিশ্চিত হতে হবে এবং সবচেয়ে ভালভাবে কীভাবে তা জানাতে পারেন তা ঠিক করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম কি সবচেয়ে ভাল উপায়? নাকি গতানুগতিক উপায়গুলোর মধ্যে এমন কোনো উপায় আছে যা কিনা অধিক কার্যকর হতে পারে? এই দুটিকে একত্রিত করার উপায়গুলো খুঁজে বের করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কোন লাইভ ইভেন্টের একটি বক্তব্য রেকর্ড করতে পারেন এবং পরে তা অনলাইনে শেয়ার করতে পারেন। 

বিচক্ষণতার সাথে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম নির্বাচন করুন

বহু সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম আছে এবং সেগুলোর কোনটা কেমন, কোনটা কেন ব্যবহার করা হয় এবং আপনার অঞ্চলে সেগুলো কতটা জনপ্রিয় সে সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।এগুলোর সবগুলো কীভাবে ব্যবহার করবেন তা আপনার জানতে হবে না। সেগুলো সম্পর্কে শুধু একটু ওয়াকিবহাল হতে হবে।

আপনাকে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে থাকতেও হবেনা। অনেকগুলোতে প্রচুর সময় ব্যয় ও পরিশ্রম না করে বরং আপনি ভালভাবে ব্যবহার করতে পারেন এরূপ একটি বা দুটি প্ল্যাটফর্মে থাকাই ভাল।

আপনি যে লোকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তাদের কাছে কোন প্ল্যাটফর্ম সর্বাধিক জনপ্রিয় তা খুঁজে বের করতে হবে। তারা কোন সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে? যখনই আপনি তা বুঝতে পারবেন, তখনই আপনি এই লোকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে আরো ভাল বার্তা তৈরির জন্য অধিক সময় ব্যয় করতে পারেন।

একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শুরু করুন এবং প্রথমে সেটিতেই মনোনিবেশ করুন। আপনি যদি এটি ভালভাবে আয়ত্ত করে ফেলতে পারেন, এরপর আপনার যোগাযোগের উদ্দেশ্য অনুসারে অন্য প্ল্যাটফর্মকে সামনে নিয়ে কাজ শুরু করুন।

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি কীভাবে তৈরি করবেন

এটি “সামাজিক” মাধ্যম হলেও, এটি শুধু সামাজিকীকরণের জন্য নয়। আপনার বার্তাটি সঠিক লোকদের কাছে পৌঁছাতে আপনার একটি সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিক পরিকল্পনা থাকতে হবে। 

আপনার সোস্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি/সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ কৌশল তৈরি করতে The Resiliency Initiative ওয়েবসাইট তিনটি সহজ ধাপ অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছে। এই তিনটি ধাপ সম্পূর্ণ করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনগুলো/ সামাজিক মাধ্যমের প্রচারাভিযানগুলো তৈরি করতে আপনাকে ঠিক কী কী করতে হবে। 

আপনাকে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে:

  • আপনি (কী) জানাতে চান? 
  • আপনি (কাদেরকে) জানাতে চান?
  • আপনি (কীভাবে) আপনার দর্শকদের যুক্ত করবেন?

ধাপ ১: আপনি (কী) জানাতে চান?

প্রতিটি সামাজিক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল কোনো কিছুতে পরিবর্তন আনা। সত্যিকার অর্থে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আনতে চাইলে, আপনি কীসে পরিবর্তন আনতে চান এবং কেনো পরিবর্তন চান তার একটি সুস্পষ্ট নকশা আপনার মনে থাকতে হবে। এটি আপনাকে সুস্পষ্ট যোগাযোগ উদ্দেশ্য তৈরি করতে সহায়তা করবে।

আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মাধ্যমে আপনার যোগাযোগের উদ্দেশ্য যথাসম্ভব পরিমিত এবং সুনির্দিষ্ট করুন।

  • আমি কীভাবে জানবো যে আমি সফল হয়েছি?
  • কোন টার্গেট অথবা মেট্রিক্সের মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে আমি আমার উদ্দেশ্য অর্জন করেছি? 
  • এই উদ্দেশ্য অর্জন করার সময়সীমা কেমন?

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

আপনার যোগাযোগের উদ্দেশ্য যত সুনির্দিষ্ট এবং পরিমিত হবে, আপনার যোগাযোগ ততই যথাযথ ও কার্যকর হবে। আপনি আপনার শ্রোতাদের মধ্যে কোন বিষয়টা দূর করতে বা তাদের মধ্যে কী কী আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে তাদেরকে উৎসাহিত করতে চান? আপনার যোগাযোগের উদ্দেশ্য কেবল আপনি কতটি পোস্টার বা লিফলেট তৈরি করবেন তা নয়। চিন্তা করুন যে আপনি কী করতে চান। একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকলে বেশ ভালো হয়!

আপনার উদ্দেশ্যগুলো সংজ্ঞায়িত করতে এই থট-স্টার্টারগুলো ব্যবহার করুন: 

সতর্কতা—কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও বোধগম্যতা তৈরি করুন।

উদাহরণস্বরুপ: আমি (X ইস্যু) নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই

কার্যকলাপ—যোগদান করা, ভিজিট করা, সাইন আপ করা, উপস্থিত থাকা, অংশগ্রহণ করা, সমর্থন করা।

উদাহরণস্বরুপ: আমি চাই মানুষজন আমাদের নিউজ লেটারে সাইন আপ করুক।

আমি চাই যে, লোকজন আমাদের অঙ্গীকারে/আবেদনে স্বাক্ষর করুক।

আমি চাই লোকজন অনুদান প্রদান করুক।

সম্পৃক্ততা—আচরণ অথবা বিশ্বাস পরিবর্তন।

উদাহরণস্বরুপ:

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা আমি দেখাতে চাই যেন মানুষজন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বন্ধ করে। 

আমি (x) সম্পর্কে কমিউনিটি বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই যেন তারা (x) সংশ্লিষ্ট মানুষদের প্রত্যাখ্যান করা বন্ধ করে ।

যোগাযোগের উদ্দেশ্যের একটি উদাহরণ এখানে দেওয়া হলো: আরো ভালো কমিউনিটি সম্পর্ক জোরদার করা।

একটি পরিমার্জিত যোগাযোগের উদ্দেশ্য হতে পারে: আগামী দুই বছরে কমিউনিটিতে শারীরিক ও মৌখিকভাবে প্রবীণদের সাথে খারাপ ব্যবহারের ঘটনা কমিয়ে আনতে তরুণ ও বৃদ্ধদের মধ্যকার আরও ভালো কমিউনিটি সম্পর্ক উন্নয়ন করা।

আপনার উত্তরগুলো একটি বাক্যে অথবা অনুচ্ছেদে একত্রিত করে পরিমার্জন করুন।  আপনি অগ্রসর হওয়ার পূর্বে, সত্যিকার অর্থে আপনার প্রস্তাবিত প্রকল্পের চ্যালেঞ্জগুলো বুঝতে পারাটা জরুরী। আপনার সমস্যাটি সফলভাবে মোকাবেলা করার জন্য আপনাকে অতীতের সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সংশয় থাকলে, বিষয়গুলো নিয়ে আপনার বোধগম্যতা নিশ্চিত করতে অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলুন। 

ধাপ ২: আপনি (কার) সাথে যোগাযোগ করতে চান?

কার্যকর যোগাযোগের প্রধান বিষয় হল কার সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে তা নির্ণয় করা। “সবাই” আপনার অভীষ্ট দর্শক/শ্রোতা নন। সবাইকে টার্গেট করলে তা খুবই ব্যাপক হয়ে যাবে। আপনাকে টার্গেট অডিয়েন্সেকে আরো সুনির্দিষ্টভাবে বাছাই করতে হবে যাতে আপনার যোগাযোগটি সঠিক মানুষদের কাছে পৌছায়। 

ফ্যাশনের বিজ্ঞাপন কীভাবে তৈরি করা হয় চিন্তা করুন। পোশাকাদি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তা একটি নির্দিষ্ট কাস্টমার গ্রুপকে আকর্ষণ করে, সকল মানুষকে টার্গেট করা হয় না। আর সবাইকে টার্গেট করলে তা খুবই ব্যাপক হয়ে যাবে। কিছু স্টাইল বা কিছু কিছু কাপড় নির্দিষ্ট কিছু আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়, তাই সেই নির্দিষ্ট আবহাওয়ার লোকদের টার্গেট করবেন না, বা তাদের বাজেট অনুযায়ী পণ্য তৈরি করতে যাবেন না। একটি কার্যকর বিজ্ঞাপন নির্মাণের আগে কোম্পানিকে ভাবতে হবে যে পোশাকগুলোর অভীষ্ট ক্রেতা কারা। 

বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান, কর্মসংস্থান, বৈবাহিক ও পারিবারিক অবস্থা এবং অন্যান্য ডেমোগ্রাফিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে সংজ্ঞায়িত করুন। 

উদাহরণস্বরুপ:  আমার টার্গেট অডিয়েন্স হল X শহরে বসবাসকারী ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী বেকার যুবসমাজ। 

আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে/শ্রোতাকে/দর্শক সংজ্ঞায়িত করুন। 

এবার, আপনার টার্গেট অডিয়েন্স/শ্রোতা/দর্শক কীভাবে চিন্তাভাবনা করে, অনুভূতি প্রকাশ করে এবং কাজ করে সেগুলো বিবেচনা করুন। তাদের অভ্যাস ও মনোভাব বুঝতে পারাটা জরুরি যেন আপনি সঠিক বার্তা লিখে তাদের সাথে প্রকৃতপক্ষে সংযুক্ত হতে পারেন। 

উদাহরণস্বরুপ: তারা মনে করেন যে তারা কখনোই কোনো চাকরি পাবেন না। তারা বেপরোয়াভাবে কাজ করেন, কারণ তারা মনে করেন তাদের জীবন ক্ষণস্থায়ী হবে। 

এবার, আপনার টার্গেট অডিয়েন্স/শ্রোতা/দর্শক কীভাবে চিন্তাভাবনা করে, অনুভূতি প্রকাশ করে এবং কাজ করে সেগুলো বিবেচনা করুন। 

ধাপ ৩: আপনি (কীভাবে) আপনার দর্শকদের যুক্ত করবেন? 

আপনার দর্শকদের যুক্ত করতে “3Ms” অনুসরণ করুন:

  • বার্তা
  • ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক
  • মাধ্যম

আপনার বার্তা

আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে/শ্রোতাকে/দর্শককে আপনি কোন কথাটি বলতে চান? 

আপনার মূল বার্তাটি স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হতে হবে। আপনার মেসেজটি কি আপনার দর্শক/শ্রোতাদের আকর্ষণ করবে? আপনি কি বার্তাটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন? ভাষা, মেজাজ এবং প্রসঙ্গ ঠিক আছে কিনা চিন্তা করুন। অনেক বেশি অনুগ্রাহী বা অসংবেদী হয়ে না যায়। ভিন্ন ভিন্ন দর্শক, সংস্কৃতি, এবং প্রসঙ্গের ভিত্তিতে কিছু শব্দের ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক অভিব্যক্তি হতে পারে। 

আপনার বার্তাবাহক

আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের/শ্রোতা/দর্শকের কাছে পৌঁছাতে সহায়তার জন্য একটি ভালো বার্তাবাহক নির্বাচন করুন। আপনার মতে সবচেয়ে কার্যকরভাবে কে আপনার বার্তা পৌঁছে দিতে পারে? ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক যিনি হবেন তিনি যেন আপনার দর্শক/শ্রোতাদের নিকট পরিচিত এবং সম্মানিত ব্যক্তি হন। আপনি তাদেরকে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই ফিচার করতে পারেন।

বিশ্বাসযোগ্যদের মধ্যে থাকতে পারে:

  • খ্যাতিমান সংস্থাসমূহ।
  • আপনার টার্গেট অডিয়েন্স যেসব ব্যক্তিদেরকে সম্মান করেন যেমন স্পোর্টস স্টার, সঙ্গীত শিল্পী বা অভিনেতা।
  • সম্মানিত ধর্মীয়, কমিউনিটি, বা তরুণ নেতৃবৃন্দ

আপনার মাধ্যম

আপনার দর্শক/শ্রোতারা যেই মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে সেটিই আপনার সংস্থার জন্য সর্বোত্তম মাধ্যম (চ্যানেল বা সিস্টেম কমিউনিকেশন)। “মাধ্যম” বলতে প্ল্যাটফর্মের ধরন (অ্যাপ) এবং সেই প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টর ধরন উভয়ইকেই বুঝায়। 

প্ল্যাটফর্ম

আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোন প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, যাতে আপনিও সেই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

কনটেন্ট

কোন ধরনের কনটেন্ট আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের/ শ্রোতাদের/দর্শকদের জন্য উপযুক্ত হবে তা বিবেচনা করুন।

  • ভিডিও: শর্ট ক্লিপস বা অ্যানিমেশন
  • টেক্সট: স্লোগান, হ্যাশট্যাগ বা খোলা চিঠি
  • ছবি: ফটো, মীমস
  • অডিও: পডকাস্ট বা শর্ট অডিও ক্লিপস
  • হাস্যরসাত্মক বিষয় (কমিকস): শর্ট প্যানেলস বা অ্যানিমেশন

জরিপ, সাক্ষাৎকার বা প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ দ্বারা জানতে চেষ্টা করুন যে, আপনার দর্শক/শ্রোতা কী কী কমিউনিকেশন টুলস এবং কনটেন্ট পছন্দ করে। আপনাকে রিসোর্স এবং বাজেট নিয়েও ভাবতে হবে। এই দর্শক/শ্রোতাদের কাছে পৌঁছতে কোন চ্যানেল বা প্ল্যাটফর্মগুলো সবচেয়ে ভাল কাজ করে? কী ধরনের কনটেন্ট তাদের কাছে সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য, শেয়ারযোগ্য এবং আকর্ষণীয় হবে? 

আপনার অডিয়েন্স যে প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে এবং আপনি যে ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করুন। 

“কোনো ক্ষতি করবেন না” নীতিসমূহ

আপনার কমিউনিটিতে এমন কী স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে যা সম্পর্কে আপনার সচেতন হওয়া প্রয়োজন? আপনার কনটেন্টের মধ্যে এমন কোনো কিছু কি আছে যা এই স্পর্শকাতর বিষয়কে উসকে দিতে পারে? আপনার কমিউনিটি এবং অন্যান্য কমিউনিটির ব্যাপারে আপনি যে সবকিছু ভেবেছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে অন্যদের দিয়ে চেক করুন। আপনার কনটেন্ট নির্ভুল কিনা তা পরীক্ষা করুন এবং অবশ্যই নির্ভুলতার প্রমাণ থাকতে হবে। 

স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ, বিষয়, ছবি, প্রতীক বা এমনকি রঙও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

আপনার পূর্ণাঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটেজি/সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের কৌশল

এখন আপনি উপর থেকে উত্তর নিয়ে এই ফর্মটি পূরণ করতে পারেন।

অভিনন্দন! আপনি একটি কৌশল গ্রহণ করেছেন। আপনি কী শিখেছেন, কী পরিবর্তন হয়েছে এবং কীভাবে আপনার কৌশলকে আরো উন্নত করা যায় তা মূল্যায়ন করতে বছরে অন্তত একবার এই প্রক্রিয়াটি দেখুন। এই কৌশলটি আপনার প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে এবং কমিউনিটির বাইরের পরিবর্তিত পরিস্থিতি প্রতিফলিত করতে সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হতে পারে।

স�োশ্যাল মিডিয়ার জন্যপর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা

PDF

ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকুন

সক্রিয় থাকুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাদের বৃহত্তর কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকুন।

Go to Facebook